Thursday, October 15, 2020

পানাম নগর - ভ্রমণ গাইড


পানাম নগর কোথায় অবস্থিত

পানাম নগর (Panam City) রাজধানী ঢাকা থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ৩৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ঢাকা সেখানে পৌঁছাতে প্রায় ১ ঘন্টার মত সময় লাগে। নগরটি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলার অন্তর্গত। এখানে আমরা এর ইতিহাস, বর্তমান অবস্থা এবং কীভাবে পানাম সিটিতে ভ্রমণ করবেন, সে সম্পর্কে বলব!

পানাম নগরের ইতিহাস

বাংলার শাসক ঈসাঁ খান সোনারগাঁওকে তার রাজধানী করেছিলেন ১৫০০ শতকে। শীতলক্ষা নদী পানাম নগরের পাশ প্রবাহিত হওয়ায় নগরটি ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর এবং বাণিজ্য কেন্দ্র। পানাম নগর সোনারগাঁয়ের ২০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। নগরটি স্মৃতিসৌধ, গুরুত্বপূর্ণ অফিস এবং মসজিদের মতো মুঘল স্থাপত্যশৈলীতে সমৃদ্ধ ছিল। এই নগরটি ২৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ‌ঐতিহাসিক গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড দিয়ে সংযুক্ত ছিল।

আজকের পানাম নগর

পানাম নগর একটি শান্ত ও বিদ্ধস্ত গ্রাম। এটি বিশ্বাস করা কঠিন যে এটি এক সময়ে বাংলার রাজধানী এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক কেন্দ্র ছিল। এখন অনেক দেশী-বিদেশী পর্যটক বাংলার মুঘল সম্রারজ্যের ইতিহাস-ঐতিহ্য, তাদের পুরানো স্মৃতি এবং জীবনযাত্রার সন্ধান করতে পানাম নগর আসেন। তাই স্থানটি বাংলাদেশের অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন এবং ঐতিহাসিক স্থান।

পানাম নগরের স্থাপত্যশৈলী

পানাম নগর ৫ মিটার প্রস্থ এবং ৬০০ মিটার দৈর্ঘ্যের একক রাস্তার দু’পাশে নির্মিত। ৫২ টি অট্টালিক রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে আছে। অট্টালিকার দরজা এবং জানালা গুলো প্যারাবোলিক আকারে ডিজাইন করা হয়েছে। মসজিদের মিনারের মতো উপরের দিকে বাহ্যিক প্রতিসাম্য বক্ররেখা রয়েছে। দেওয়ালে খুব সূক্ষ প্যাটার্ণ ডিজাইনও দেখা যায়। অট্টালিকা গুলোর ছাদ ধরে রাখার জন্য অসংখ্য গোলাকার কলাম রয়েছে। নৈপূণ্য প্রদর্শনের জন্য কয়েকটি অট্টালিকার সামনে বারান্দা ও লবি রয়েছে। শহরটির চারপাশ সুরক্ষা খাল দ্বারা বেষ্টিত।

কিভাবে পানাম নগর যাবেন

রাজধানী ঢাকার গুলিস্তান থেকে সোনারগাঁয় গামী বাসে উঠে মুগরাপাড়া চৌরাস্তায় নামবেন। এতে প্রায় ১ ঘন্টা সময় লাগতে পারে। সেখান থেকে আপনি অটোরিকশায় ১০ মিনিটের মধ্যে পৌছতে পারেন পানাম নগরে। ব্যক্তিগত গাড়িতেও যেতে পারেন। গাড়ি পার্কিং করার সুব্যবস্থা আছে।

পানাম নগর খোলার সময়-সূচী

আগে এই জায়গাটি সব সময়ের জন্য উন্মুক্ত ছিল। সম্প্রতি ঢাকা জাতীয় যাদুঘর এই স্থাপত্য এলাকাটি সংরক্ষণের অধিকার অর্জন করেছে। তাই ভাঙচুর ও অবৈধ  দখল থেকে এই ঐতিহাসিক স্থানটিকে বাঁচাতে একটি ভ্রমণ সময় সূচী নির্ধারণ করেছে।


রবিবার - বন্ধ

সোমবার - দুপুর ২ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত

মঙ্গলবার থেকে শনিবার - সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত

সরকারী ছুটি - বন্ধ


ভ্রমণ টিকেট মূল্য

বাংলাদেশীদের জন্য - ১৫ টাকা

বিদেশীদের জন্য - ১০০ টাকা


Wednesday, October 14, 2020

সাজেক ভ্যালি ভ্রমণের বিস্তারিত গাইড লাইন

তুলার মত সাদা মেঘে হারিয়ে যেতে কে না চায়? তাহলে আপনাকে যেতে হবে সাজেক ভ্যালি। রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের বৃহত্তম ইউনিয়নের নাম সাজেক। আর সাজেক ইউনিয়নে অবস্থিত সাজেক ভ্যালি বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভ্রমণ স্থান গুলোর একটি। এটি রাঙ্গামাটি জেলার উত্তরে মিজোরাম সীমান্তে অবস্থিত। সাজেকের উত্তরে ত্রিপুরা, দক্ষিণে রাঙ্গামাটির লঙ্গদু, পূর্বে ভারতের মিজোরাম, পশ্চিমে খাগড়াছরির দিঘিনালা অবস্থিত। সমুদ্র সমতল থেকে সাজেক ভ্যালির উচ্চতা প্রায় ১৮০০ ফুট। সাজেকের অবস্থান রাঙ্গামাটি জেলায় হলেও ভৌগলিক অবস্থানের কারণে খাগড়াছড়ি হয়ে দিখিনালা থেকে সাজেক যাওয়া খুব সহজ। সাজেক খাগড়াছড়ি জেলা সদর থেকে ৭০ কিলোমিটার এবং দিঘিনালালা থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সাজেক যেতে চাইলে আপনাকে বাঘাইহাট সেনা শিবির থেকে অনুমতি নিতে হবে।

sajek valley

সাজেক বাংলাদেশের বৃহত্তম ইউনিয়ন যার আকার ৭০২ বর্গমাইল। রুইলুই পাড়া এবং কংলাক পাড়ার সমন্বয়ে সাজেক ভ্যালি গঠিত। রুইলুইপাড়ার উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৭২০ ফুট এবং সমুদ্র সমতল থেকে কোংলাকপাড়ার উচ্চতা প্রায় ১৮০০ ফুট। সাজেক মূলত লুসাই, পাখোয়া এবং ত্রিপুরা আদিবাসীদের বসবাসের স্থান। সাজেকের কলা ও কমলা খুব বিখ্যাত। রাঙামাটির অনেক অংশ দেখা যায় সাজেক উপত্যকা থেকে। তাই সাজেক উপত্যকাটিকে রাঙ্গামাটির ছাদ বলা হয়।


সাজেকের দর্শণীয় স্থান সমূহঃ

সাজেকের সুন্দর পাহাড়, সাদা তুলার মতো মেঘ অবশ্যই আপনাকে মুগ্ধ করবে। সাজেক একটি দুর্দান্ত সুন্দর জায়গা যেখানে এর চারদিকে চার ধরণের প্রকৃতি রয়েছে। কখনও কখনও এখানে খুব গরম অনুভুত হয় আবার কখনও অপ্রত্যাশিতভাবে পলকের ন্যায় ঘন কুয়াশার সাথে সাদা মেঘের আচ্ছাদন আপনাকে ভিজিয়ে দেবে। সাজেক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং পাহাড়ী মেঘ দেখার আদর্শ জায়গা।

সাজেক দেখতে আসা পর্যটকদের জন্য কংলাক পাহাড় একটি প্রধান আকর্ষণ। কংলাক সাজেক উপত্যকার শেষ গ্রাম যেখানে লুসাই সম্প্রদায়ের আবাস স্থল। কংলাক পাহাড় থেকে আপনি ভারতের লুসাই পাহাড়, কর্ণফুলী নদীর উৎপত্তি স্থল দেখতে পাবেন। আপনি যদি দুই ঘন্টা রুইলুই পাড়া দিয়ে ট্রেকিং করতে পারেন তবে কংলাক ঝর্ণা উপভোগ করতে পারবেন। এই সুন্দর ঝর্ণাটি পডাম তোয়শা ঝর্ণা বা সিকাম তোয়শা ঝর্ণা নামেও অনেকের কাছে পরিচিত।


সাজেক কোন শিল্পীর আঁকা এক দুর্দান্ত শিল্প কর্মের মতো। আপনি যদি সাজেক যান, তাহলে ভোর দেখাটা মিস করবেন না। সাদা মেঘে সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের আলো পড়ে এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। সূর্যোদয় দেখতে আপনাকে খুব ভোরে হলিপ্যাড যেতে হবে। বিকেলে কোনও উঁচু পাহাড় থেকে দেখা সূর্যাস্তের রঙও আপনাকে সত্যিই মুগ্ধ করবে। সাজেকের আকাশে সন্ধ্যার পরে কোটি কোটি তারা জ্বলে উঠে, রাতের এমন নিঃস্তব্ধ রূপ আপনার জীবনকে কাঁপিয়ে দেবে। যদি আকাশ পরিষ্কার হয় তবে আপনি মিল্কিওয়ে বা গ্যালাক্সি দেখতে পাবেন। আপনি চারপাশে দেখতে পাবেন আদিবাসীদের জীবনযাপনের নানা রূপ। সেইসব সাধারণ মানুষের স্পর্শ আপনাকে অবিস্মরণীয় অনুভূতি দেবে এবং সাজেক ভ্যালিতে গেলে আপনার হাতে সময় থাকলে আপনি হাজাছড়া ঝর্ণা, দিঘিনালা ঝুলন্ত ব্রিজ এবং দিঘিনালা বনবিহারও দেখে আসতে পারেন।

সাজেক ভ্যালিতে যাওয়ার উপযুক্ত সময়ঃ

সাজেক সব ঋতুতেই সুন্দর। এক এক ঋতুতে সাজেক এক একটি নতুন রূপ পায় যা আকর্ষণীয় এবং ব্যতিক্রমী। সুতরাং, আপনি গ্রীষ্ম, বর্ষা বা শীত কোন ঋতুতে যাচ্ছেন তা বিবেচ্য নয়, আপনি এক এক ঋতুতে সাজেকের একটি নতুন নতুন রূপ দেখতে পাবেন। তবে বর্ষা বা শরৎতে আপনি সাদা মেঘকে খুব কাছ থেকে অনুভব করতে পারবেন। সুতরাং, সাজেক ভ্যালি ভ্রমণের জন্য বছরের যে কোন একটি সময়কে বেছে নিতে পারেন।

 

কীভাবে সাজেক যাবে যাবেনঃ

ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি হয়ে সাজেক

সাজেক রাঙ্গামাটি জেলায় অবস্থিত হলেও খাগড়াছড়ি জেলার দিঘিনালা হয়ে সাজেক যাওয়া অনেক সহজ। তাই প্রথমে আপনাকে খাগড়াছড়িতে আসতে হবে। ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি যেতে চাইলে সৌদিয়া, শ্যামলী, শান্তি পরিবহন, এস আলম ইত্যাদি বাসে করে যেতে পারেন। নন-এসি বাসের টিকেট ৫২০ টাকা। এসি বাসে যেতে চাইলে আপনি বিআরটিসি বা সেন্ট মার্টিন পরিবহন পাবেন ৭০০ থেকে ৯০০ টাকার মধ্যে। শান্তি পরিবহন সরাসরি দিঘিনালায় যায় এবং এটিতে কেবল ৫০০ টাকা লাগে। আপনি যদি কোন ছুটি কালীন সময়ে যেতে চান তবে আগে টিকিট না কাটলে টিকিট পাওয়া কঠিন হতে পারে।


খাগড়াছড়ি থেকে সাজেকঃ

খাগড়াছড়ি থেকে সাজেকের দূরত্ব প্রায় ৭০ কিলোমিটার। আপনি খাগড়াছড়ি থেকে জিপ গাড়ি/ চন্দের গাড়ি রিজার্ভ করে সাজেক ভ্যালী ঘুরে দেখতে পারেন। ফিরতি ভাড়া সহ আপনার ৮০০০ থেকে ১০০০০ টাকা খরচ হবে। এটি ১০ থেকে ১২ জনের গ্রুপের জন্য উপযুক্ত। তবে আপনারা যদি ছোট গ্রুপ হন তবে খরচ কমাতে অন্য গ্রুপের সাথে যুক্ত হতে পারেন। যদি অন্য কোনও গ্রুপের সাথে যুক্ত হতে না পরেন তবে আপনি সিএনজি নিতে পারেন। এতে আপনার ৪০০০ থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হবে।  তবে, সাজেক যাওয়ার রাস্তাটি খুব উচু-নিচু বিপদজনক হওয়ায় সিএনজি দিয়ে ভ্রমণ না করাই ভাল।

এছাড়া, আপনি যদি একা হন বা কেবল মাত্র ২-৩ জন হন, তাহলে খাগড়াছড়ির শাপলা চত্তর থেকে অনেক গ্রুপ পাবেন, যাদের সাথে আপনি কথা বলে ভাগাভাগি করে যেতে পারবেন।


ছাড়া আপনি দিঘিনালা থেকে সাজেক যেতে পারেন। খাগড়াছড়ি থেকে দিঘিনালার দুরত্ব ২৩ কিমি। খাগড়াছড়ি থেকে দিঘিনালা যেতে বাসে জন প্রতি ৪৫ টাকা আর মোটর সাইকেলে জন প্রতি ১০০ টাকা লাগে।। সাজেক ভ্রমণের জন্য আপনি মোটরসাইকেলও রিজার্ভ করতে পারেন। কোন গাড়ি / মোটর সাইকেল ভাড়া নেওয়ার আগে, আপনি কী করবেন এবং কোথায় কোথায় ঘুরবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করে নিবেন।

আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, সাজেক যেতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই সকাল দশটার আগে দিঘিনালায় পৌঁছাতে হবে। দিঘিনালা থেকে বাকি রাস্তার নিরাপত্তার জন্য আপনাকে সেনাবাহিনীর এসকর্টে যেতে হবে। সেনাবাহিনীর এসকর্টগুলি দিনে দু'বার পাওয়া যায়। একবার সকাল দশটায়, আরেক বার বিকেল ৩ টায়। যদি আপনি সকালের এসকর্টটি মিস করেন তবে আপনাকে বিকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে, আর আপনি যদি বিকেলের এসকর্ট মিস করেন তবে আপনাকে পরের দিনের এসকর্টের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এসকর্ট ব্যতীত আপনি গাড়ি ছাড়ার অনুমতি পাবেন না। দিঘিনালায় পৌঁছানোর সময় হাতে সময় থাকলে আপনি হাজাগড় ঝর্ণা ঘুরে দেখতে পারেন।



দিঘিনালা থেকে সাজেকের পথে আপনি বাঘাইহাট, মাচালং বাজার, রুইলুই বাজার দেখতে পারবেন। খাগড়াছড়ি শহর থেকে সাজেক যেতে দুই থেকে তিন ঘন্টা সময় লাগবে। যাওয়ার পথে সারি সারি পাহাড়, সবুজ গাছ-পালা, নীল আকাশ আপনাকে ভ্রমণের সমস্ত ক্লান্তি ভুলিয়ে দেবে।

চট্টগ্রাম থেকে সাজেক ভ্যালিঃ

চট্টগ্রাম থেকে সাজেক যেতে চাইলে আপনি খাগড়াছড়ি বা দীঘিনালায় যেতে পারেন। প্রতি দিন ৪ টি বিটিআরসি এসি বাস চট্টগ্রামের কদমতলী বাস টার্মিনাল ছেড়ে যায় খড়গড়ছড়ির উদ্দেশ্যে। এ ছাড়া চট্টগ্রামের অক্সিজেন মোড় থেকে শান্তি পরিবহনের বাসগুলি প্রতি ১ ঘন্টা পর পর ছেড়ে যায় খাগড়াছড়ির উদ্দেশ্যে। চট্টগ্রাম থেকে খাগড়াছড়ি যেতে ৪ থেকে ৫ ঘন্টা সময় লাগে।


সাজেকে কোথায় থাকবেন?

সাজেকে রাতে থাকার জন্য ৪০ টিরও বেশি রিসোর্ট এবং দেশীয় কটেজ রয়েছে। আপনি যদি কোন ছুটি কালীন সময়ে সাজেক যান, তাহলে একটি ভাল মানের রিসোর্ট পাওয়ার জন্য কমপক্ষে এক মাস ‌আগে বুকিং দিতে হবে। আপনি যদি কম দামে থাকতে চান তবে দেশীয় কটেজগুলি আপনার জন্য উপযুক্ত হতে পারে। সাজেকের সমস্ত কটেজ থেকেই সুন্দর ভিউ পাওয়া যায়। সর্বাধিক জনপ্রিয় রিসোর্ট ও কটেজর মধ্যে রানময় রিসোর্ট, মেঘ মেছাং, জুমঘর ইকো রিসোর্ট, টিজিবি লুশাই কুটির, মেঘপুঞ্জি রিসোর্ট,, আলো রিসোর্ট, আদিবাসীদের সাশ্রয়ী মূল্যের কিছু কুটির রয়েছে।


সাজেকে আপনি কি খাবেন?

সাজেকের সব রিসোর্টেই খাবারের ব্যবস্থা আছে। রান্নার আগে আপনি যদি রিসোর্টকে বলেন তবে তারা আপনার পছন্দ অনুযায়ী সব ব্যবস্থা করে দিবেন। প্রতি বেলা খাবারে জন্য আপনার প্রায় ১০০ থেকে ৩০০ টাকা খরচ হবে। মেনু হিসাবে আপনি ভাত রুটি, মুরগির মাংস ইত্যাদি খেতে পারেন। ইচ্ছে করলে আপনি রাতে বার-বি-কিউয়ের ব্যবস্থা করতে পারেন। আদিবাসীদের বাড়িতেও খেতে পারেন। তাদেরকে আপনার মেনু সম্পর্কে জানাতে হবে এবং তারা আপনাকে ভাল খাবার সরবরাহ করবে। পেঁপে, আনারস, কলা সহ বিভিন্ন ফল এখানে খুব সস্তা। চাইলে এগুলোর স্বাদ নিতে পরেন।



সাজেক ভ্রমণের কিছু টিপসঃ

১। সাজেক যাওয়ার আগে ফোন কলের মাধ্যমে আপনার রিসোর্টের বুকিং নিশ্চিত করুন। 

২। সাজেকে কেবল মাত্র রবি, টেলিটক নেটওয়ার্ক মোবাইল নেটওয়ার্ক রয়েছে। তাই এই সিম কার্ড আগে থেকে সাথে রাখুন।

৩। সাজেকের যাওয়ার রাস্তাটি খুব ‌উচু-নীচু এবং বিপজ্জনক। তাই গাড়ির ছাদে ভ্রমণের সময় সাবধান থাকুন।

৪। বিনা অনুমতিতে আদিবাসীদের ছবি তুলবেন না।

৫। আদিবাসীরা খুব সাধারণ এবং সৎ। সর্বদা তাদের জীবনধারা, বিশ্বাস ও সংস্কৃতিকে সম্মান করুন।

৬। সাজেকের পথে কয়েকটি জায়গায় সেনা নিরাপত্তা শিবির রয়েছে। ভ্রমণকারীদের সম্পর্কে তাদের কিছু তথ্য দরকার হতে পারে। আপনার নিরাপত্তার জন্য সহযোগিতা করুন।

৭। আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের একটি অনুলিপি সাথে রাখুন।

৮। এটি একটি দুর্গম পার্বত্য অঞ্চল, তাই প্রয়োজনীয় জরুরী পণ্য আপনার কাছে রাখুন। 

৯। পাহাড়ী অঞ্চলের কোনও জায়গায় চিপসের প্যাকেট বা বর্জ্য নিক্ষেপ করবেন না, সঠিক জায়গায় বর্জ্য ফেলুন।

১০। সাজেক আমাদের গর্ব, তাই একে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা আমাদের দায়িত্ব।


সাজেকে কোনও গ্রুপ ট্যুর বা পরিবার নিয়ে ভ্রমণ করতে চান?

সাজেক গ্রুপ ট্যুর বা পরিবার নিয়ে ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত জায়গা। এই জায়গার সৌন্দর্য আপনাকে দারুণ আনন্দ দেবে। আপনি যদি নিরাপদ ও আনন্দময় সাজেক ভ্রমণ করতে চান, তাহলে Travel Mate আপনাকে ভ্রমণে সহায়তা করতে পারে। আরো তথ্যের জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। আপনার সাজেক ভ্রমণ আনন্দময় হোক। ♥